চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে র্যাবের কাছে আত্মসমর্পণ করেছে চট্টগ্রামের ১১টি বাহিনীর ৩৪ জলদস্যু। হত্যা ও ধর্ষণ মামলা ছাড়া এসব জলদস্যুর বিরুদ্ধে বেশ কিছু মামলা চলমান। আত্মসমর্পণ করায় এসব মামলা আইনি প্রক্রিয়ায় প্রত্যাহার করা হবে বলে জানিয়েছে র্যাব।
বৃহস্পতিবার সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে আত্মসমর্পণ করেন এসব জলদস্যু।
আত্মসমর্পণকারী জলদস্যুরা হলেন– মহেশখালীর বাইশ্যা বাহিনী ও ফুতুক বাহিনীর মো. আব্দুল হাকিম ওরফে বাইশ্যা ডাকাত (৫২), মো. আহামদ উল্লাহ (৪২), মো. আব্দুল গফুর ওরফে গফুর (৪৭), মো. দিদারুল ইসলাম ওরফে পুতিক্যা (৩২), মো. জসিম উদ্দিন (২৬), মো. মিজানুর রহমান (২৩), মো. আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে বাইশ্যা (২৯), মো. বেলাল মিয়া (৩০), মো. আব্দুল হাকিম ওরফে বাক্কু (৩৫), মো. রশিদ মিয়া (৩৬)।
কুতুবদিয়ার খলিল বাহিনীর সদস্য আব্দুর রহিম (৬৪), মো. মাহমুদ আলী ওরফে ভেট্টা, মো. ওবায়দুল্লাহ (৩৬), মো. ইসমাইল (২৪), সাহাবুদ্দিন ওরফে টুন্নু (৩২)।
বাঁশখালীর রমিজ বাহিনীর মো. ইউনুস (৫৬), মো. তৌহিদ ইসলাম (৩৪), মো. ফেরদৌস (৫২), মো. রেজাউল করিম (৪০)।
এছাড়া পেকুয়ার বাদশা বাহিনীর মো. নিজাম উদ্দিন ভাণ্ডারী, মো. ইউনুস (৫১), মো. কামাল উদ্দিন (৪৭), মো. আব্দু শুক্কুর (২৮), মো. ইউনুচ (৪২), জিয়া বাহিনী ও নাছির বাহিনীর সাহাদাত হোসেন (দোয়েল) (৪১), মো. পারভেজ (৩৩), মো. নাছির (৫১), আমির হোসেন (৪৮), মো. সাকের (৪০)।
এছাড়া আত্মসমর্পণ করেছেন চকরিয়ার কালাবদা বাহিনীর মো. সেলিম বাদশা (৩৪), মো. আব্দুল গফুর ওরফে গফুর, মো. আবু বক্কর সিদ্দিক (৩১), মো. মামুন মিয়া (২৭) ও মো. মন্জুর আলম (৪২)।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার এলাকায় এর আগেক কয়েকদফা আত্মসমর্পণ করে জলদস্যুরা। এরই ধারাবাহিকতায় বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর উপস্থিতিতে র্যাবের কাছে অস্ত্র জমা দিয়ে আত্মসমর্পণ করে বাঁশখালী, মহেশখালী, চকরিয়া ও কুতুবদিয়ার ১১টি বাহিনীর ৩৪ জনদস্যু।
আত্মসমর্পণকালে মন্ত্রী বলেন, যারা আত্মসমর্পণ করছে তাদের আইনি সহায়তা ছাড়াই নগদ টাকা দেয়া হবে। যাতে করে তারা ছোটখাটো কোনো কাজ করে হলেও জীবনযাপন করতে পারে।